যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মায়ামী’তে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। ২৬ মার্চ দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট জেনারেল প্রাঙ্গণে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং মায়ামীতে অবস্থানরত বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী বাংলাদেশী ও স্থানীয় গণমাধ্যম প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই কনসাল জেনারেল কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর কনসাল জেনারেল ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তাবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা, ফ্লোরিডাস্থ বিভিন্ন সংগঠন এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। স্বাধীনতাযুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে তাঁদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

এরপর কনসাল জেনারেল তার স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য যাত্রার বিষয়টি সংক্ষেপে সকলের সামনে তুলে ধরেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বিষয়ক একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশি কিশোর স্মরণ বাঁশিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। গত বছরের মত এ বছরও স্বাধীনতা দিবসের থিমেটিক উদযাপন করা হয়। এ বছরের থিম ছিল ‘শীতলপাটি’। শীতলপাটির ইতিহাস ও তথ্যসহ বেশকটি শীতলপাটি সকলের জন্য প্রদর্শিত হয়।

বিদেশি অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মায়ামীতে অবস্থিত ব্রাজিল, তুরস্ক ও হাঙ্গেরি কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা, মায়ামীর বিভিন্ন শহরের মেয়র, মায়ামী-ডেড কাউন্টির কর্মকর্তারা, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটেরঅফিস অফ ফরেন মিশনস, মায়ামীর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিল্পী আইনজীবীসহ আরও অনেকে। বাংলাদেশি আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে মায়ামীতে অবস্থানরত বীর মুক্তিযোদ্ধা, ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশি শিক্ষকরা, মায়ামী, ফোর্ট মায়ারস ও আটলান্টার বিভিন্ন বাংলাদেশি রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা, বাংলাদেশি কমিউনিটির অন্যান্য সদস্যসহ শতাধিক প্রবাসী অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন। উপস্থিত সকলকে নৈশভোজে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।